কী এই এল-নিনো?

                    

এর সাথে জড়িত আছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটা ঘটনা। দক্ষিণ-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা উপকূল বরাবর দক্ষিণায়ন বায়ু বা south-east trade wind এর প্রভাবে মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় গরম পানি অস্ট্রেলিয়া উপকূল বরাবর চলে আসে। গরম পানি বাতাসে গরম করে উপরে তুলে দিয়ে শূন্যস্থান তৈরি করে ফলে শীতল বাতাস জড়ো হয়। এভাবে অস্ট্রেলিয়া উপকূলে নিম্নচাপীয় অবস্থা বিরাজ করে যা সে এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের আমেরিকা উপকূলে ঠান্ডা পানির সমারোহে উচ্চচাপীয় অবস্থা থাকে। এটা হলো স্বাভাবিক অবস্থা।
কোনো কারণে দক্ষিণায়ন বায়ু দুর্বল হয়ে মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের গরম পানি উল্টো দিকে আমেরিকা উপকূলে জমা হয়ে সেখানে নিম্নচাপ তৈরি করে এবং অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে উচ্চচাপ তৈরি হয়। একে El-Nino বা এল-নিনো বলে। এ সময় উচ্চচাপের কারণে অস্ট্রেলিয়া অঞ্চল মেঘহীন ও বৃষ্টিহীন হয়ে প্রচণ্ড গরম অবস্থা তৈরি করে যার ফলে অস্ট্রেলিয়ায় বড় বড় দাবানল দেখা দেয়। অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলের উচ্চচাপের তীব্রতা মাসকিরিন দ্বীপপুঞ্জের উচ্চচাপীয় অবস্থাকেও ছাড়িয়ে যায় ফলে সে কোনো মেঘ ভারত উপমহাদেশে পাঠাতে পারে না তাই ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টি কম হয়ে ভারত উপমহাদেশে প্রচণ্ড গরম পড়ে।
সবশেষ ২০১৫-২০১৬ সালে শক্তিশালী এল-নিনো তৈরি হয়েছিল। ২০২৩-২৪ এল-নিনো অারও ভয়াবহ হতে যাচ্ছে বলে আবহাওয়াবিদদের মত। ২০২৪ সাল সম্ভবত উষ্ণতম বছর হবে। লক্ষণীয়, ১৯৭২-৭৩ এল-নিনোতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

শাহাদাত হুসাইন আরিফ।Shahadat Husain Arif। Arif

This Article is collected from Science Bee (www.sciencebee.com.bd)