আপনি কি শীতকালে গোসল করতে ভয় পান? শীত এলে দীর্ঘদিন গোসল ছাড়া থাকেন?








তবে এ ভয়কে জয় করে ফেলুন। কারন,ঠান্ডা পানি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী এবং সেই সাথে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শীতকালে গরম পানির চেয়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা শরীরের জন্য বেশি উপকারী। শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসলের উল্লেখযোগ্য ভাবে পাঁচটি উপকারীতা রয়েছে।
১.রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।ঠান্ডা পানিতে গোসল ধমনীকে শক্তিশালী করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২.ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: শীতকালে বেশি গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।ফলে ত্বকে জ্বালাপোড়া, ফুসকুড়ি ও খুশকির সমস্যা দেখা যায়।অপরদিকে, ঠান্ডা পানি ত্বকের কিউটিকলস এবং ছিদ্র গুলোকে আঁটসাঁট করে রাখে।ত্বক এবং মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে পারে ফলে ময়লা প্রবেশ করতে পারে না।
৩.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : ঠান্ডা পানিতে গোসল করার সময় শরীর নিজেকে উষ্ণ করার চেষ্টা করে।ফলে দেহে শ্বেত রক্তকণিকার নিঃসরণ হয় যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে।
৪. পেশির উপকারীতা: ঠান্ডা পানি পেশির ব্যাথা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
৫.বিষন্নতা মোকাবিলা : শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ইতিবাচক দিক হলো এটি আপনার মেজাজ ভালো করে।তাই আপনি গোসল থেকে বেরিয়ে আসার পরে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
তবে যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম থাকে তাহলে শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।আপনার জ্বর, হৃদরোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না।কারণ এটি আপনার স্বাস্থ্যকে আরো খারাপ করতে পারে।ঠান্ডা, কাশি এবং নিউমোনিয়ার মতো সমস্যা থাকলে ঠান্ডা পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

This Article is collected from Science Bee (www.sciencebee.com.bd)