উড়তে উড়তে ঘুমাতে পারে এই পাখি!



নীল আকাশে পাখিদের উড়া নিয়ে মানুষদের আদিখ্যেতার অন্ত নেই। আদিকাল থেকেই মানুষ পাখিদের উড়া পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তেমনি 'ফ্রিগেট' পাখির উড়াকেও মানুষ বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। ১৮৩৯ সালে চার্লস ডারউইন যখন গ্যালাপগোস দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি ফ্রিগেট পাখির অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এবং তাদের চমৎকার উড়ার কৌশল দেখেছিলেন। তারা অনেক উচ্চাতা থেকে উড়ে এসে পানির উপরিভাগের প্রাণীকে শিকার করে থাকে। তারা খুবই দ্রুততার সাথে নামতে পারে এবং পানি স্পর্শ না করেই তাদের ডানার সাহায্যে আবার উপরের দিকে উঠে যায়। নতুন করে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে এই ফ্রিগেট পাখিরা দীর্ঘ ভ্রমণের সময় তাদের মস্তিষ্কের অর্ধেক ভর তাদের ডানায় রেখে উড়তে উড়তেই ঘুমাতে পারে। এসময় তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও অর্ধেক থাকে। শাহাদাত হুসাইন আরিফ।Shahadat Husain Arif। Arif
গবেষণাটি করেছে জার্মানির সিউইজেনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অর্নিথোলজির একদল গবেষক। আর গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে 'নেচার কমিউনিকেশনস' নামক জার্নালে।। শাহাদাত হুসাইন আরিফ।Shahadat Husain Arif। Arif
গবেষক নিলস যাটেনবার্গ এবং তার সহকর্মীরা গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ করেছিলেন এবং ফ্রিগেট পাখির বাসা থেকে ১৫টি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ফ্রিগেট পাখি ধরেছিলেন। এরপর তারা প্রতিটি পাখির সাথে একটি হেড-মাউন্ট করা ডেটা লগার লাগিয়ে দেয় যাতে ক্ষুদ্রাকৃতির ইলেক্ট্রো-এনসেফালোগ্রাম সেন্সর এবং একটি অ্যাক্সিলোমিটার থাকে। তারপরে আবার পাখিগুলোকে ছেড়ে দেয়া হয়। যা তাদের প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাখিদের মস্তিষ্কের তরঙ্গ এবং নড়াচড়া রেকর্ড করার সুযোগ করে দেয়। । শাহাদাত হুসাইন আরিফ।Shahadat Husain Arif। Arif
ফ্রিগেট পাখিগুলো উড়ার জন্য স্টিরিও-টাইপিকাল ফ্লাইট প্যাটার্ন লক্ষ করেছিল। এই ভ্রমণগুলো ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল আর এই সময়ে পাখিরা ৩০০০ কিমি পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। তাদের উচ্চতা দিন এবং রাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা ছিল না, তবে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে তারা দিনের আলোতে আরও বেশি বৃত্তাকারে ঝুঁকে পড়ে এবং সূর্যাস্তের আগের ঘন্টায় সর্বোচ্চ উচ্চতায় ওঠে যায়। । শাহাদাত হুসাইন আরিফ।Shahadat Husain Arif। Arif
এসময় প্রতি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাখিরা গড়ে প্রায় ৪০ মিনিট ঘুমায়। তবে তারা একচেটিয়াভাবে রাতে ঘুমাতো।বৃত্তাকার ভাবে উড়ার সময় পাখিগুলোর ঘুমের সময় গড়ে প্রায় ১২ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল এবং সরাসরি উড়ার সময় সেটা প্রায় ৭ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। যা প্রায় অকল্পনীয়। আর উড়ার সময় ঘুমও স্থলভাগের ঘুমের চেয়ে অনেক কম তীব্র ছিল। আর পাখিরা সতর্কতার জন্য মাঝে মাঝে ঘুমও ত্যাগ করেছিল। এবং দীর্ঘ দূরত্বের পথে উড়ার সময় তারা না ঘুমিয়ে পরবর্তীতে একসেথে ঘুমিয়ে পুষিয়ে নিতে পারে এতে তাদের শরীরের ক্ষয়পূরণ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়েছিল। তারা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে উড়ার ক্ষেত্রে খুব কম সময়ই উড়তে উড়তে ঘুমায়।। শাহাদাত হুসাইন আরিফ।Shahadat Husain Arif। Arif
Zubaer Mollah
Team Science Bee

This Article is collected from Science Bee (www.sciencebee.com.bd)